চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে অস্থিতিশীলতা চলছে

সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের কারণে আটককৃত ৫ হাজার ৬৩৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে মিয়ানমার। চলতি মাসেই এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই ঘোষণা দেওয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ওই ঘোষণায় বলা হয়, সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভের কারণে আটক হওয়া এসব বন্দিকে মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া হবে। এছাড়া দেশের অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধির পেছনে সামরিক সরকার বিরোধী গ্রুপগুলোর দিকেও দোষারোপ করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার পৃথক এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চলতি অক্টোবর মাসের শেষের দিকে থাডিংয়্যুট উৎসব উপলক্ষে মোট ৫ হাজার ৬৩৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়ার একদিন পর এই ঘোষণা দিলেন তিনি।

চলতি বছরের ১ ফেব্রয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। রক্তপাতহীন এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং। অং সান সুচি ও তার দল এনএলডির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বর্তমানে গৃহবন্দি বা কারাবন্দি অবস্থায় আছেন।

পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)-র সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকারের হাতে দেশটিতে কমপক্ষে ১১৬৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৭ হাজার ২০০-র বেশি মানুষকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

টিএম