করোনা টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার মিশ্র ডোজ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সর্বোচ্চ পরিমাণে হ্রাস করে। ইউরোপভিত্তিক চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি ফেব্রুয়ারি-মার্চে ইউরোপে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করার পর কয়েকজন রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া সমস্যায় আক্রান্ত হন। তারপর ইউরোপের অনেক দেশের মতো সুইডেনও টিকাদান কর্মসূচিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্যবহার স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

পাশাপাশি, যারা ইতোমধ্যে প্রথম ডোজে ভেক্টর রাশির করোনা টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা নিয়েছেন- দ্বিতীয় ডোজে তাদেরকে দেওয়া হয় এমআরএনএ টিকা ফাইজার কিংবা মডার্না।

প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও দ্বিতীয় ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার কিংবা মডার্না- কোনো একটি টিকা নিয়েছেন- এমন ৭ লাখ মানুষের তথ্য সম্প্রতি নিয়েছেন সুইডেনের একদল গবেষক। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর দ্বিতীয় ডোজে ফাইজারের টিকা নিয়েছেন- তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমেছে ৬৭ শতাংশ।

অন্যদিকে যারা প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও দ্বিতীয় ডোজে মডার্নার টিকা নিয়েছেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে ৭৯ শতাংশ।

যারা দু’ডোজেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যারা নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষার হার ৫০ শতাংশ।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য সুইডেনের উমেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার নর্ডস্ট্রোম বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ সম্পর্কে বলেন,‘আমাদের গবেষণায় এটি প্রমাণিত হলো যে ভেক্টর রাশির টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজে এমআরএনএ গ্রুপের টিকা দেওয়া হলে করোনা সংক্রমণ থেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা পায় মানুষ।’

করোনা টিকার মিশ্র ডোজের ব্যাপারটি গত কয়েকমাস ধরে আলোচনায় থাকলেও এই প্রথম এ বিষয়ে বড় আকারের কোনো গবেষণা হলো বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ল্যানসেট।

এসএমডব্লিউ