জাপানের মূল ভূখণ্ড এবং উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোকে পৃথককারী সুগারু প্রণালী অতিক্রম করেছে চীন এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর ১০টি জাহাজ। তবে এই কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাপানের সরকার।

মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশটির উপপ্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিকো ইসোজাকি বলেছেন, ‌‘সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে জাপানের আশপাশে চীনা এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

‘আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জাপানের জলপথ ও আকাশসীমায় আমাদের নজরদারির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

সুগারু প্রণালীতে চীন এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ একসঙ্গে চলাচলের বিষয়টি প্রথমবারের নিশ্চিত করেছে জাপান। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে জাপান সাগরকে পৃথক করেছে এই প্রণালী।

প্রণালীটি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসাবে বিবেচনা করা হলেও পূর্ব চীন সাগরের কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে চীনের সঙ্গে জাপানের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। মস্কোর সঙ্গেও টোকিওর আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চীন এবং রাশিয়ার জাহাজগুলো জাপানের আঞ্চলিক জলসীমা লঙ্ঘন করেনি এবং কোনও আন্তর্জাতিক নিয়মও ভাঙেনি।

গত ১৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জাপান সাগরে যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া এবং চীন। রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধজাহাজ এবং সাপোর্ট জাহাজ এই নৌ মহড়ায় অংশ নেয়।

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে চীন এবং রাশিয়া।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস