প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতা দখলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘অসীম সাহসিকতা’ দেখানো রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও ক্রেমলিনের সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকারবিষয়ক শাখারভ পুরস্কার পেয়েছেন। গত বছর জার্মানিতে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টায় বেঁচে যাওয়া কারাবন্দি এই রুশ নেতাকে বুধবার শাখারভ পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ইপিপি গ্রুপ শাখারভ পুরস্কার ঘোষণার পর অ্যালেক্সি নাভালনিকে মুক্তি দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইপিপি বলছে, নাভালনি এবং অন্যান্য সব রাজনৈতিক কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায় ইউরোপ।

চলতি বছরের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন নাভালনি। গত বছর বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়ার পর জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে কারাবন্দি হন তিনি।

একই সঙ্গে ৪৫ বছর বয়সী নাভালনি যে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন, সেই দলকে ‌‘চরমপন্থী’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। কর্তৃপক্ষের চাপপ্রয়োগ এবং হুমকির পর নাভালনির অনেক মিত্র রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।

সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিন্নমতাবলম্বী আন্দ্রেই শাখারভের নামে ১৯৮৮ সাল থেকে দ্য শাখারভ পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়। প্রত্যেক বছর মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের জন্য লড়াকুদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরোধী আন্দোলন ৫০ হাজার ইউরো মূল্যের এই পুরস্কার পায়।

চলতি বছরের এই পুরস্কার আগামী ডিসেম্বরে স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে হস্তান্তর করা হবে। এবারের এই পুরস্কারের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসা দেশটির নারীদের একটি গ্রুপ এবং ২০১৯ সালে অভ্যুত্থান চেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কারাবন্দি বলিভিয়ার সাবেক সরকার প্রধান জেনিন আনেজ।

সূত্র: এএফপি।

এসএস