দিনে সর্বোচ্চ ২৭ কোটির সাহায্য, কে কে আছেন এই তালিকায়?
দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের সমাজসেবী ধনীদের মধ্যে শীর্ষস্থান পেয়েছেন উইপ্রোর প্রতিষ্ঠাতা আজিম প্রেমজি। ভারতীয় আইটি জায়ান্টের এই প্রতিষ্ঠাতা দেশটির ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। অংক কষলে দেখা যাবে দিনে ২৭ কোটি টাকা করে দান করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘এডেলগিভ হুরুন ইন্ডিয়া ফিলেনথ্রোপি লিস্ট ২০২১’ অনুসারে প্রেমজি গত অর্থ বছরে তার অনুদান ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছেন। আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন মহামারির বছরে দানের বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ করে ১ হাজার ১২৫ কোটি থেকে ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা করেছেন। দশটি রাজ্যে টিকা দেওয়ার কাজ সম্প্রসারণের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এই তালিকায় প্রমিজের পরই আছেন আরও এক আইটি জায়ান্টের প্রতিষ্ঠাতার। এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান শিব নাদার ১ হাজার ২৬৩ কোটি টাকার বার্ষিক অনুদান দিয়েছেন। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তালিকাটিতে তৃতীয় স্থানে আছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। গত অর্থ বছরে তিনি ৫৭৭ কোটি টাকা অনুদান দেন।
দানের তালিকায় চতুর্থ নাম কুমার মঙ্গলম বিড়লার। গত অর্থ বছরে ৩৭৭ কোটি টাকার অনুদান দেন তিনি।
ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি এই বছর দানের তালিকায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি ১৮৩ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন।
হিন্দুজা পরিবার ১৬৬ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
গত অর্থ বছরে ১৩৬ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে বাজাজ পরিবার। হুরুন ইন্ডিয়া ফিলেনথ্রোপি লিস্টে সপ্তম স্থানে বাজাজ পরিবার।
এফওয়াই২১-এ ১৩০ কোটি টাকার অনুদানের মাধ্যমে অষ্টম স্থান যৌথভাবে গৌতম আদানি এবং অনিল আগরওয়ালের দখলে।
ডাবর গ্রুপের বর্মণ পরিবার ১১৪ কোটি টাকা অনুদানের মাধ্যমে এরপরের স্থানে রয়েছে।
এ এম নায়েক, লারসেন অ্যান্ড টারবোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, দাতব্য উদ্দেশে তার আয়ের ৭৫ শতাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ১১২ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে তালিকায় ১০ম স্থানে রয়েছেন।
শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা গত অর্থ বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দান করেছেন।
এমএইচএস