ভারত-চীন সীমান্তে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) বিপুল পরিমাণে স্টেট-অফ-দি-আর্ট অস্ত্র মজুদ করেছে দেশটি। রয়েছে চিনুক হেলিকপ্টার, অতি হালকা ওজনের হাউইটজার ও রাইফেল। এছাড়াও রয়েছে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ও ভারতে তৈরি অত্যাআধুনিক সারভেইলেন্স সিস্টেম। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মাউন্টেন স্ট্রাইক করপ্স সম্পূর্ণ সচল রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে একটি বড় সেনাদল পাঠিয়েছে দেশটি। গত এক বছরে অরুণাচলে অন্তত ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। চীনের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় নয়াদিল্লি সীমান্তে সেনা মোতায়েনের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শীতকালে সীমান্তে জড়ো হচ্ছে দুই দেশের সেনারা। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার মতো দেশ থেকে ভারত আরও অস্ত্র কিনবে বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ভারত এখন চীনকে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে সেনার তরফে। 

অরুণাচল অঞ্চলটি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর সীমান্ত মায়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনা সেনাবাহিনীর তৎপরতা কিছুটা বেড়েছে, তবে ভারতের কাছেও যথেষ্ট সৈন্য রয়েছে বলে জানা গেছে।

তাওয়াং থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন এভিয়েশন ব্রিগেড এই পরিকল্পনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। তাওয়াংকে সংযোগকারী সেলা টানেল সময়ের আগেই প্রস্তুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

বর্তমানে, বরফ পরিষ্কার করতে অসুবিধা হওয়ায় খুবই কম যানবাহন সেখানে যেতে পারছে। টানেল তৈরির ফলে আগের থেকে কম সময়ে তাওয়াং পৌঁছানো সম্ভব হবে। এটি সারা বছর সৈন্যদের দ্রুত চলাচলে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে এখন চিনুকের মতো হেলিকপ্টার রয়েছে। চিনুক সহজে ও দ্রুত আমেরিকান হাউইটজার এবং সৈন্যদের পাহাড়ে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বেশ কিছু ইসরায়েলের তৈরি চালকবিহীন বিমান রয়েছে। এগুলো প্রতিনিয়ত শত্রুদের অবস্থানের রিয়েল-টাইম ছবি পাঠায়। 

ওএফ