বৈরীতার অবসান এবং দু’দেশের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসায় ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের বৈঠকের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান সরকার।রোববার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়িদ খাতিবজাদেহ রাষ্ট্রায়ত্ব টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে ইরান সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

সাক্ষাৎকারে খাতিবজাদেহ বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর বিষয়ে নিজের পররাষ্ট্রনীতি সংশোধন করতে চাইছে সৌদি আরব। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে শেষপর্যন্ত যুদ্ধ এবং রক্তপাত তাদেরকে সহযোগিতা তো করবেই না, উল্টো বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।’

সম্প্রতি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান জানিয়েছেন, তার দেশ ইরানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে আগ্রহী। রোববারের ওই সাক্ষাৎকারে কার্যত এর প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন সায়িদ খাতিবজাদেহ।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, যদি সৌদি আরব সত্যিই তার পররাষ্ট্রনীতি সংশোধন করে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেয়, সেক্ষেত্রে ইরানই প্রথমে দেশটিকে স্বাগত জানাবে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়েই বলে আসছি, কোনও একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সমস্যাসমূহ মোকাবিলায় ওই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে একটি উষ্ণ, বন্ধুত্ব ও সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্ক প্রয়োজন। একমাত্র পারস্পরিক আন্তরিকতা ও সমঝোতাই পারে আমাদের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকে যাবতীয় সংকট থেকে নিরাপদ রাখতে।’

সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘সৌদি আরব যদি বৈরী মনোভাব পরিত্যাগ করে, সেক্ষেত্রে দেশটির সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী ইরান।’

ঐতিহাসিকভাবেই সুন্নি মুসলমান অধ্যুষিত সৌদি আরব এবং শিয়া মুসলমান প্রধান ইরানের মধ্যে সাংস্কৃতিক, মতাদর্শিক ও রাজনৈতিক ব্যবধান বিদ্যমান। গত শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বৈরীভাবাপন্ন এই দু’দেশ। এই দ্বন্দ্ব আরো তীব্রতা পেয়েছে কয়েক বছর আগে থেকে, যখন ইরান পরমাণু প্রকল্প শুরু করে।

সায়িদ খাতিবজাদেহ বলেন, ‘সৌদি আরব সম্ভবত কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে চায়, এবং আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী, এমনকি সেগুলো যদি কাল্পনিক বা বাস্তবতাবিবর্জিত হয়, তবুও।’

সূত্র: মিডলইস্ট মনিট

এসএমডব্লিউ