মার্কিন জাহাজের আদলে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া
সামরিক অনুশীলনে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চীনের সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিমানবাহী জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজগুলোর ডামি ব্যবহার করছে চীন। দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের মরুভূমিতে এসব ডামি ব্যবহার করছে চীনা সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানি ম্যাক্সারের সংগ্হীত স্যাটেলাইট ছবির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান তিক্ততার মধ্যে এসব ছবি প্রকাশিত হওয়ায় এই ব্যাপারটি স্পষ্ট হলো যে, চীন তার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী ও আরও বেশি আক্রমণাত্মক করে তোলার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্যাটেলাইটে তোলা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, জিনজিয়াংয়ের মরু অঞ্চল টাকলামেকানে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর বিমানবাহী নৌযানের অন্তত একটি ডামি ও আরলিফ বার্ক ক্লাস মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজের দু’টি ডামি প্রস্তুত করেছে চীনের সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সামরিক প্রতিষ্ঠান ইউএস নাভাল ইনস্টিটিউট এক বিৃবতিতে জানিয়েছে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার জন্য এসব মডেল তৈরি করেছে চীনের সামরিক বাহিনী।
নাভাল ইনস্টিটিউট আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও তার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালাচ্ছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্স (পিএলএআরএফ)। এই ছবিগুলো সেই কর্মসূচীর তথ্যই প্রকাশ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগনের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রথম জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালিয়েছিল চীন। প্রথম যে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ চীন করেছিল, সেটির নাম ডিএফ-২১। পানির নিচে জাহাজের তলদেশ ধ্বংস করার জন্য এই ধরনের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
২০২০ সালে এই পরীক্ষাটি দক্ষিণ চীন সাগরের যে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে চালানো হয়েছিল, সেটির মালিকানা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। চীন ছাড়াও দক্ষিণ চীন সাগরে উপকূলবর্তী আরও ৪ টি দেশ সেই দ্বীপটির মালিকানার দাবিদার।
চলতি বছর জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন চীনের হুঁশিয়ার করে বলেছেন, চীন যদি তার উস্কানিমূলক ব্যবহার বন্ধ না করে এবং ফিলিপাইনের জলসীমায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে ফিলিপাইনের পক্ষে এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র।
এসএমডব্লিউ