দুই ডোজ টিকা নিয়েও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিঠিতে তারা বুস্টার ডোজ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম জানিয়েছে, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর তা সর্বোচ্চ কার্যকর অবস্থায় পৌঁছায়। তবে কতদিন টিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সক্ষম, তা সুনির্দিষ্ট নয়। সিডিসি বলছে, ছয় মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে টিকা। এখানেই আতঙ্ক চিকিৎসকদের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে চিকিৎসকদের দাবি, সময়ের সঙ্গে নিস্তেজ হচ্ছে করোনা টিকা। দেখা গেছে ছয় মাসেই কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। অধিকাংশ চিকিৎসকেরই টিকা নেওয়ার এক বছর পেড়িয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারদের আতঙ্ক, টিকা থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে একটু একটু করে বাড়ছে কোভিড রোগী। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত রোগী দেখতে হচ্ছে ডাক্তারদের। তাই সরকারের কাছে দ্রুত বুস্টার ডোজের আবেদন করেছেন ডাক্তাররা। 

শুধু চিকিৎসক নয়, সব ফ্রন্টলাইনারদের জন্যই বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম।

ফোরামের সদস্য ডা. রাজীব পাণ্ডে জানিয়েছেন, টিকা নিলেও অনেকেই ফের করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। এ সময় বুস্টার ডোজের প্রয়োজন। 

সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের ওপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গেছে টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও ২৩ শতাংশ মানুষের শরীরে কোনো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। যাদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিএমআরও।

এইচকে