মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সপ্তাহেই ভার্চ্যুয়ালি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে বুধবার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এদিকে জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য এই বৈঠকটি আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। এমনকি ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকেও এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি তাইওয়ানসহ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা বেড়েছে। তবে সেসব উত্তেজনাকে এক পাশে রেখে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে বৈঠকে বসছেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং। এর আগে চলতি বছরের মধ্যেই উভয় নেতার মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে বলে গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

এছাড়া সম্প্রতি দু’টি দেশ একে অপরের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একইসঙ্গে তাইওয়ানের ব্যাপারে পারস্পরিক সমঝোতা মেনে চলারও ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন-বেইজিং।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য ভার্চ্যুয়াল বৈঠক সম্পর্কে স্থানীয় সময় গত সোমবার হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন পিয়েরের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। তবে উত্তরে সেসময় তিনি উভয় নেতার সম্ভাব্য বৈঠকের সুনির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে বলতে অস্বীকৃতি জানান।

ক্যারিন সেসময় বলেন, বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এর বেশি আর কোনো তথ্য দেননি তিনি।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুই দেশের মধ্যে চলা প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতের রূপ না নেয়, সেই বিষয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক বিষয়ে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোরও বার্তা দেন বাইডেন। একইসঙ্গে, বিশ্বে শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার কথাও সেসময় ফোনালাপে তুলে ধরেছিলেন বাইডেন।

টিএম