ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, কিন্তু তারপরও এখনো যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিকর উপাদান ও গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে শহরের বাতাসে। বৃহস্পতিবার বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বাতাসের গুণাগুণ নির্দেশক সূচক ইউএস এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ১৮৫ পয়েন্ট পেয়ে বায়ু দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা। গত বছর ২০২০ সালে এই সূচকে তৃতীয় শীর্ষস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।

ইউএস এয়ার কোয়ালিটির সূচকে চলতি বছর দূষণে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শহর লাহোর। শহরটির প্রাপ্ত পয়েন্ট ৪৭৮।

এছাড়া ৩৫৪ পয়েন্ট পেয়ে এই সূচকে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং ১৯১ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় স্থানে আছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বসনিয়া হার্জিগোভিনার রাজধানী সারায়েভো।

ইউএস এয়ার কোয়ালিটি সূচকে যেসব শহরের প্রাপ্ত পয়েন্ট ১ থেকে ১০০র মধ্যে, সেসব শহরের বাতাসের মানকে ‘স্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়, যেসব শহরের প্রাপ্ত পয়েন্ট ১০১ থেকে ২০০- সেসব শহরের বাতাসকে চিহ্নিত করা হয় ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে।

সূচকে ২০১ থেকে ৩০০ পয়েন্টের  শহর পেয়েছে, সে শহরগুলোর বাতাস পেয়েছে ‘দূষিত’ তকমা; আর যে শহরগুলোর প্রাপ্ত পয়েন্ট ৩০১ এবং তার চেয়ে বেশি- সেসব শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়েছে ইউএস এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। এসব শহরের বাসিন্দারা সবসময় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন।

ঢাকার বায়ুর গুণাগুণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাতাসে ৫ টি উপাদানের পরিমাপ নেন বিশেষজ্ঞরা। এই উপাদানসমূহ হলো- ক্ষুদ্র বস্তুকণা, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড ও ওজোন।

বাংলাদেশের রাজধানীর বায়ু দূষণের ব্যাপারটি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় আছে। সাধারণত শীত ও শুষ্ক মৌসুমে অধিকমাত্রায় দূষিত থাকে ঢাকার বাতাস, বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে দূষণ কম থাকে।

বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিভাগ ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের ৩ টি প্রধান কারণ নির্দেশ করেছিল। এগুলো হলো- ঢাকার আশপাশে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর ধোঁয়া, যানবাহন থেকে নিঃসৃত ধোঁয়া ও নির্মাণকাজ চলার ফলে বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তুকণার ছড়িয়ে পড়া।

এসএমডব্লিউ