ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সহকর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হতেই রাজ্যটির রাজধানী লখনৌ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

অভিযুক্ত ওই সরকারি কর্মকর্তার নাম ইচ্ছারাম যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে কর্মরত। বৃহস্পতিবার ইচ্ছারামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত ২৯ অক্টোবর অভিযুক্ত ইচ্ছারাম যাদবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তারই অফিসে কর্মরত এক নারী সহকর্মী। তবে এরপরও বুধবার পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার শেয়ার করা ভিডিওর সূত্র ধরেই ইচ্ছারাম যাদবকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়।

নির্যাতিত ওই নারী সহকর্মীর অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে তিনি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে কর্মরত। ওই দফতরের ইন-চার্জের দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত ইচ্ছারাম। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রধান কার্যালয় লখনৌয়ের বাপু ভবনের চারতলায় একসঙ্গে চাকরি করতেন দু’জনে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকেই ইচ্ছারাম যাদব ওই নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানি করা শুরু করেন। মাসখানেক আগে তাকে শৌচাগারে গিয়ে মজা করার কুপ্রস্তাবও দিয়েছিলেন ইচ্ছারাম। এমনকি, তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দেওয়া হয় ওই নারীকে।

নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অনেকগুলো ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া সেসব ভিডিওতে ওই নারী সহকর্মীর সঙ্গে অভিযুক্ত ইচ্ছারামকে অশ্লীল আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। ওই নারী অভিযুক্তকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন। একটি ভিডিওতে অভিযুক্ত ইচ্ছারামকে জোর করে তার সহকর্মীকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।

অবশ্য ইচ্ছারামকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৫০৬ ও ২৯৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তবে সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এতটা সময় লাগা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

টিএম