ডাইনোসর নিয়ে গবেষণা কম হয়নি। এখনও চলছে। আর তাতেই মানুষ জানতে পারছে নতুন নতুন জিনিস। খুলে যাচ্ছে এ বিষয়ে গবেষণার নতুন নতুন দরজা। খুলে যাচ্ছে জীবাশ্মবিদ্যা প্রাণিবিদ্যার নতুন চর্চার ক্ষেত্রও।

প্রায় চার দশক আগে সন্ধান মিলেছিল ডাইনোসরের কতগুলো হাড়ের। সময়টা ১৯৭৮ সাল। তারপর থেকে এত দিন পর্যন্ত তা জাদুঘরেই পড়েছিল। করোনা সংক্রমণের সময়ে বিশ্বজুড়ে লকডাউনের আবহে মিউজিয়ামে পড়ে থাকা এ হাড়গোড় নিয়ে গবেষণা করেন এক গবেষক। আর তারপরই আশ্চর্য হওয়ার পালা। দেখা যাচ্ছে হাড়গুলো নতুন এক প্রজাতির ডাইনোসরের!

আগে যেসব ডাইনোসরের ফসিলের সন্ধান মিলেছে, সেগুলোর সঙ্গে এর কোনো মিলই নেই! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরীক্ষণ হলো- এটির নাক আগে সন্ধান পাওয়া প্রজাতিগুলোর তুলনায় লম্বা, দাঁতের সংখ্যাও বেশি। নতুন এ প্রজাতির সন্ধান মিলেছে ব্রিটেনের দক্ষিণ উপকূলের ‘আইসল অব উইট’ দ্বীপে। সেখানে প্রজাতিটি শনাক্ত করেন জেরেমি লকউড নামের এক পিএইচডি গবেষক।

গবেষণা প্রতিবেদনটি ‘জার্নাল অব সিস্টেমেটিক প্যালিঅন্টোলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাইনোসরের হাড়গুলো ১৯৭৮ সালে আবিষ্কৃত। সেগুলো লন্ডনের ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম’ ও ‘আইসল অব উইট’ দ্বীপের ডাইনোসর জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল। জেরেমি চার বছর ধরে এ হাড়গোড় নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। করোনাকালে হাড়গুলো পৃথকভাবে বিশ্লেষণ করে তিনি দেখতে পান, এগুলো যে ধরনের প্রজাতির ইঙ্গিত করছে তা আগে সন্ধান পাওয়া প্রজাতির চেয়ে ভিন্ন।

কী রকম ভিন্ন?

নতুন প্রজাতির এ ডাইনোসর লম্বায় প্রায় আট মিটার। ওজন আনুমানিক ৯০০ কিলোগ্রাম। নতুন এ প্রজাতির নাম রাখা হয়েছে ‘ব্রাইস্টোনিয়াস সিমোনদসি’। গবেষক জেরেমি বলেন, প্রায় ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সবাই জেনে এসেছে ডাইনোসর মূলত দুই প্রজাতির- এগুলোর ২৩ কিংবা ২৪টি দাঁত থাকে, নাক স্বাভাবিক দৈর্ঘবিশিষ্ট। তবে নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের দাঁতের সংখ্যা ২৮, এর নাকও অন্য ডাইনোসরের চেয়ে বড় এবং লম্বা।

সূত্র: জিনিউজ

এসএসএইচ