অরুণিমা সিংহ, ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

৫২৯ কোটি ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১ কোটি করোনা পিল বিক্রিতে সম্মত হয়েছে টিকা ও ওষুধপ্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি ফাইজার। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তিও করেছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মার্কিন কোম্পানি মের্কের পথ ধরে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ বা অ্যান্টিভাইরাল পিল আনছে ফাইজার। নতুন এই ওষুধের নাম দেওয়া হয়েছে প্যাক্সলোভিড। কোম্পানিটির দাবি- তাদের অ্যান্টিভাইরাল পিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

এই হার মের্কের করোনা পিল মলনুপিরাভিরের চেয়ে বেশি। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সদ্য মার্কিন খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন পাওয়া করোনা পিল মলনুপিরাভির করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

প্যাক্সলোভিড নামের ওষুধটি প্রস্তুতের পর মোট ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর এই ওষুধ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া করোনা রোগীরা সবাই মৃদু ও মাঝারি উপসর্গে ভুগছিলেন।

স্বেচ্ছাসেবী এই করোনা রোগীদের প্রত্যেককে দিনে দু’বার তিনটি করে প্যাক্সলোভিড পিল দেওয়া হয়। ২৮ দিন পর্যন্ত চলে এই চিকিৎসা।

এই সময়সীমার পর এই স্বেচ্ছাসেবীদের শারীরিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের প্রায় সবাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

গত সোমবার জরুরি প্রয়োজনে প্যাক্সলোভিডের ব্যবহার বিষয়ক ছাড়পত্রের জন্য এফডিএ বরাবর আবেদন করেছে ফাইজার। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে ১৮ লাখ পিল সরকারকে সরবরাহ করবে ফাইজার।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তামন্ত্রী জেভির বেকেররা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘মহামারি নির্মূলে আরেকটি হাতিয়ার আমরা নিজেদের সংগ্রহে পেতে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের করোনা বিপর্যয়ে প্যাক্সলোভিড কার্যকর ভূমিকার রাখতে সক্ষম হবে।’

এসএমডব্লিউ