কূটনৈতিকভাবে ২০২২ সালে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিক বয়বটের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনীতিক শীতকালীন ওই অলিম্পিকে অংশ নেবেন না। তবে মার্কিন অ্যাথলেটরা সেখানে অংশ নেবেন।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাথ্যম বিবিসি ও ডয়চে ভেলে। এর মাধ্যমে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কার্যত আরও খারাপ হলো।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে মেক্সিকোর রাষ্ট্রপ্রধান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈঠকের আগে চীন ইস্যুতে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন জানান, বেইজিংয়ে আয়োজিত ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনীতিক বা কর্মকর্তা যাবেন না। তবে খেলোয়াড়রা বেইজিংয়ে যাবেন।

সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। চীনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মার্কিন কর্মকর্তাদের লম্বা সময় ধরে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেখানে বেইজিং অলিম্পিক নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চীনে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মূলত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীন অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অনেকদিন থেকেই অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টিকে গণহত্যার সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল। যা নিয়ে পাল্টা কঠোর জবাব দিয়েছিল চীন। বাইডেন না বললেও হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সে বিষয়টিকেই ফের সামনে নিয়ে এসেছেন।

তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের বেইজিং অলিম্পিকে যোগ দিতে কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা বা কূটনীতিক যাবেন না।

সম্প্রতি হংকং এবং তাইওয়ান নিয়েও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বেড়েছে। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়েও মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে শীতকালীন অলিম্পিক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

টিএম