উইসকনসিনে বিক্ষোভে গুলি চালানো কিশোর কাইলি নির্দোষ: আদালত
কাইলি রিটেনহাউস
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য উইসকনসিনে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ২ জনকে হত্যা ও একজনকে আহতের ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর কাইলি রিটেন হাউসের নির্দোষ ঘোষণা করেছে একটি মার্কিন আদালত। খবর রয়টার্সের।
গত বছর জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই ছড়িয়ে পড়েছিল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ। উইসকনসিনও তার বাইরে ছিল না।
বিজ্ঞাপন
কাইলির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, উইসকনসিনে বিক্ষোভ চলার সময় জোসেফ রোসেনবাম (৩৬) এবং অ্যান্থনি হুবার (২৬) নামের দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। এছাড়া একই সময়ে তার ছোড়া গুলিতে আহত হন গেইগ গ্রসক্রুটেজ (২৮) নামের আরেক বিক্ষোভকারী।
কাইলি অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছেন, কেবল আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের জেরে গত বছরের শেষ সপ্তাহে অশান্ত হয়ে উঠেছিল উইসকনসিন। অগ্নিসংযোগ, দাঙ্গা, লুটতরাজের মধ্যে ২৫ অগাস্ট এক বিক্ষোভে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ১৭ বছর বয়স ছিল কাইলি রিটেনহাউসের।
শুক্রবার ৫টি অভিযোগের সবগুলো থেকে খালাস পাওয়ার পর রিটেনহাউজকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
রায় ঘোষণার সময় আদালত ভবনের বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি ছিল। রিটেনহাউজের পক্ষে-বিপক্ষে থাকা অনেকে আদালতের বাইরে রায়ের জন্য অপেক্ষাও করছিলেন।
রায়ে অনেকে ‘হতাশ’ হলেও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত কেনোশার পরিস্থিতি শান্তই ছিল।
নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে থাকা বিভক্তি শুক্রবারের রায়ের পর দেওয়া প্রতিক্রিয়াতেও স্পষ্ট হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ব্ল্যাক ককাস তাদের বিবৃতিতে রায়ের কঠোর সমালোচনা করেছে। রিটেনহাউজকে ছেড়ে দেওয়াকে ‘অযৌক্তিক’ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছে ককাস। অনেকে বলছেন, রিটেনহাউজ যদি কৃষ্ণাঙ্গ হতেন, তাহলে পুলিশ-আদালত তার প্রতি আরও ‘নির্দয়’ হতো।
অন্যদিকে রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রক্ষণশীলরা। তাদের মতে, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী যে কতটা ঠিক তা আরও একবার দেখালো শুক্রবারের রায়। সংবিধানের ওই সংশোধনীই মার্কিন নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার দিয়েছে।
‘বন্ধুরা, কাইল রিটেনহাউজ নির্দোষ। নিজেকে রক্ষার অধিকার আছে আপনাদের। সশস্ত্র হন, বিপজ্জনক হন, নৈতিক হন,’- রায়ের পর ইনস্টাগ্রামে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই লিখেছেন নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে মার্কিন কংগ্রেসে যাওয়া রিপাবলিকান ম্যাডিসন কাথর্ন।
এসএমডব্লিউ