চার কানের বিড়াল মিডাস কি একটু বেশিই শোনে?
দুই জোড়া কান এবং ত্রুটিপূর্ণ চোয়াল নিয়ে জন্মেছিল মিডাস নামের এ বিড়ালটি। অদ্ভুত দেখতে। কিন্তু তাই বলে তার জীবনে এ ত্রুটির কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই। উল্টো এ ত্রুটিই ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে তাকে।
মাত্র চার মাসের এ বিড়ালের অনুগামীর সংখ্যা বিরাট। নেটজগতে অন্তত ৭৩ হাজার অনুগামী তার। চার মাস বয়সী এ বিড়ালছানা ইতোমধ্যে ইন্টারনেটে সাড়া ফেলে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তুরস্কের আঙ্কারাতে জন্ম মিডাসের। আরও চার ভাই-বোন রয়েছে তার। তবে বেশি দিন ভাইবোনদের সঙ্গে রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়নি তাকে।
বিজ্ঞাপন
আঙ্কারারই একটি পরিবার এ অদ্ভুতদর্শন বিড়ালটিকে দত্তক নিয়ে নেয়। সাধ করে নাম রাখে মিডাস। প্রথম দেখাতেই নাকি মিডাসকে ভালো লেগে গিয়েছিল ওই পরিবারের সদস্যদের।
গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, মিডাস এক রাজার নাম। তার স্পর্শে সবকিছুই সোনায় পরিণত হতো। সেই থেকেই বিড়ালছানার এমন নামকরণ করে পরিবারটি। ওই পরিবারের মনে হয়েছিল, তার এ অদ্ভুত রূপের জন্যই হয়ত তাকে ভুগতে হবে। তাকে কেউই ভালোবাসবে না, কেউ তাকে আশ্রয় দিতে চাইবে না।
মিডাসকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই তাদের বাড়িতে দুটি কুকুর রয়েছে। মিডাসের সঙ্গে তাদের কিন্তু বেশ ভাব। মিডাসের এ রূপ তার স্বাস্থ্যে কোনোভাবেই কুপ্রভাব ফেলে না বলে জানিয়েছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞেরা। শুনতেও ঠিকঠাক পায় সে। তাদের মতে, এটি এক ধরনের জিনগত ত্রুটি।
মিডাসের শারীরিক পরীক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনেকের ধারণা মিডাস বুঝি অন্যদের তুলনায় বেশি শুনতে পায়। কিন্তু কান পরীক্ষা করে দেখা গেছে বাইরে থেকে দেখে চারটি কানযুক্ত বিড়াল মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা দুটি কানেরই কাজ করে। কারণ মিডাসের কানের পাতাগুলো ভেতরে শ্রবণযন্ত্রের সঙ্গেই যুক্ত।
মিডাসের নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার প্রতি মুহূর্তের কাজকর্ম সেখানে আপলোড হয়। মিডাসের ছবি আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে লাইক এবং ভালোবাসার বন্যা বয়ে যায়। মিডাসের জন্য শুভেচ্ছার ঢল নেমে আসে। চারটি কান নিয়ে জন্মে তারকা হয়ে গেছে মিডাস।
সূত্র: আনন্দবাজার
এসএসএইচ