২০২০ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন জো বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও এক বছরও পার করতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট।

মূলত হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এই তথ্য সামনে এনেছেন। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৭৯ বছর বয়সী জো বাইডেন।

রয়টার্স বলছে, গত কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি মার্কিন নাগরিকদের আস্থা আগের তুলনায় কম দেখা যাচ্ছে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কয়েকটি জরিপে ইঙ্গিত মিলেছে। আর তাই তিনি আরও চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে চাইবেন না বলেই মনে করেছিলেন ডেমোক্র্যাটদের অনেকে।

নর্থ ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্র্যাগে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে থ্যাংকসগিভিংয়ের এক অনুষ্ঠানে সোমবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন যোগ দিতে যাওয়ার পর জেন সাকি বলেন, ‘তিনি (ফের নির্বাচনে লড়তে) চান। এটিই তার ইচ্ছা।’

রয়টার্স বলছে, চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর জয় কার্যত সবাইকে বিস্মিত করেছে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যেও চমকে গেছে জো বাইডেনের দল। সেখানে বেশ অল্প ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

এদিকে বাইডেন যদি পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন, তাহলে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে তার প্রতি মানুষের আস্থা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইউএসএ টুডে/সাফলক ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক একটি জরিপে কমলা হ্যারিসের প্রতি মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষের আস্থার কথা উঠে এসেছে।

গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত শুক্রবারই প্রথমবারের মতো চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন জো বাইডেন। শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার কিছু সমস্যা ধরা পড়লেও তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ফিট বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

টিএম