অভিনন্দনের আটক হওয়ার বিষয়টি পারমাণবিক শক্তির অধিকারী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করে

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমান আকাশে এক লড়াইয়ের পর পাকিস্তানের হাতে আটক হন। ঘটনাটি পারমাণবিক শক্তির অধিকারী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করে ওই সময়। 

বিশ্বব্যাপী আলোচিত ওই ঘটনার পর ৩ বছরের কাছাকাছি সময়ে এসে গেল সোমবার অভিনন্দন বর্তমানকে ‘বীর চক্রে’ ভূষিত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  

ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে অবতরণ করান তৎকালীন উইং কমান্ডার অভিনন্দন। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই তাকে ‘বীর চক্র’ সম্মানে ভূষিত করা হলো।

তবে অভিনন্দন বর্তমানের পাওয়া এই স্বীকৃতিকে ভিন্ন চোখে দেখছে পাকিস্তান। তারা বলছে, প্রহসনের ওপর ভিত্তি করে অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ বীরত্বের সম্মান দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার অভিনন্দন বর্তমানকে ‘বীর চক্রে’ ভূষিত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  

অভিনন্দন ‘বীর চক্রে’ ভূষিত হওয়ার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা বলছে, পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান এফ ১৬-কে গুলি করে নামায় এক ভারতীয় পাইলট, যাকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আজাদ কাশ্মীরে গ্রেফতার করা হয়, ভারতের এই তথ্য কল্পিত। নিজের দেশের নাগরিকদের খুশি করতে একটি সুন্দর কাহিনি নির্মাণ করে অভিনন্দন বর্তমানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতের মিথ্যাচার ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। কল্পিত ঘটনার ওপর বীরত্বের সম্মান দেওয়া সেনা অনুশাসনের মধ্যে পড়ে না। এমন সম্মান দেওয়া আসলে হাস্যকর একটা উদাহরণ। ভারতের ভুয়া গল্প আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোনো প্রভাব ফেলবে না। 

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর বিমান ধাওয়া করতে গিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের বিমানটি পাকিস্তানের সীমানার মধ্যে ভূপাতিত হয় এবং তিনি আটক হন। 

অভিনন্দনের আটক হওয়ার বিষয়টিকে ওই সময় ভারতের জন্য বড় ধরনের একটি বিপত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছিল।  

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন ও বিবিসি বাংলা। 

এনএফ