চলতি বছরের প্রথম মাসে তৃতীয়বারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান উড়তে দেখা গেছে। বুধবার কথিত এই ‘সামরিক উপস্থিতির মহড়ার’ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।     

বাইডেন ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর অবশ্য এটাই প্রথম। বাকি মহড়াগুলো হয়েছে ট্রাম্পের বিদায় নেওয়ার আগ মুহূর্তে। অনেকে একে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিমত্তা দেখানোর মহড়া হিসেবে অভিহিত করছে। 

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ান অঙ্গরাজ্য থেকে বি-৫২ বোমারু বিমানগুলো উড্ডয়নের পর ‘মধ্যপ্রাচ্যে সফলভাবে মহড়া চালিয়েছে’। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই প্রতিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য ছিল সম্ভাব্য আগ্রাসন রোধ করতে বিশ্বের যে কোনো স্থানে বিমানবাহিনী মোতায়েন এবং আঞ্চলিক সুরক্ষায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার প্রদর্শন করা।’

ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণ পরিকল্পনা সংশোধনের হুমকি ও জো বাইডেনকে ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার বিরুদ্ধে সতর্ক করার একদিন পর মধ্যপ্রাচ্যে ফের বোমারু বিমান উড়ল। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের যে নীতি নেন, বাইডেন প্রশাসন সেই চুক্তিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র যদি ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ‘কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে সেই ভুল সমূহ বিপদের কারণ হতে পারে’ বলে সতর্ক করেছেন ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান আমির কোহাভি।

এএস