ছবি: রয়টার্স

সাইবার প্রযুক্তির খরিদ্দার দেশের তালিকা সংক্ষিপ্ত করেছে ইসরায়েলের সরকার। আগে যেখানে খরিদ্দারের তালিকায় ছিল ১০২টি দেশ, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেখান থেকে ৩৭টি দেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় দৈনিক ক্যালক্যালিস্ট ফিন্যান্সিয়াল নিউজপেপারের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এই ৩৭ দেশের তালিকায় কোন কোন দেশের নাম রয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে জানা যায়নি; তবে ইসরায়েলের সরকারি সূত্রের মাধ্যমে কয়েকটির নাম জানতে পেরেছেন সাংবাদিকরা। এই দেশগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো এবং মেক্সিকো।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ সম্পর্কে ক্যালক্যালিস্ট ফিন্যান্সিয়াল নিউজপেপারকে বলেন, কয়েকটি শর্তের সাপেক্ষে বিভিন্ন দেশের কাছে সাইবার প্রযুক্তি বিষয়ক সফটওয়্যার বিক্রি করে থাকে সরকার। সফটওয়্যার ক্রয়ের পর যেসব দেশ সেসব শর্ত লঙ্ঘণ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে- সেগুলোকেই খরিদ্দার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের তৈরি নজরদারীমূলক সফটওয়্যার পেগাসাস কেলেঙ্কারির জেরে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক বিবৃত অবস্থায় পড়ে ইসরায়েল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন দেশের সরকার এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে বিরোধীপক্ষের রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর অন্যায় নজরদারী চালাচ্ছে।

এনএসও অবশ্য বলেছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং যেসব দেশের সরকার বিধি বহির্ভূতভাবে নজরদারী কার্যক্রম চালাচ্ছে, তার এই সফটওয়্যারটির ক্রয়বিষয়ক শর্ত লঙ্ঘণ করেছে।

তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে দেশটি; আর চলতি সপ্তাহে এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।

এসএমডব্লিউ