ছবি: রয়টার্স

করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র যেসব প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে ও পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে কিছু বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে অসন্তোষ জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি, বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। করোনার এমন একটি ধরন আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে, যেটি সম্পর্কে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য আমাদের হাতে নেই।’

‘কিন্তু একই সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি, ডব্লিউএইচওর বেশ কিছু সদস্যরাষ্ট্র এই ব্যাপারটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে এবং এমন কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে, যেগুলো মোটেই যুক্তিসঙ্গত নয়। ডব্লিউএইচও এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ এ ধরনের উদ্যোগ বা পদক্ষেপ কেবল ওইসব রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজে আসবে এবং কোভিডের ফলে বিশ্বজুড়ে যে অসাম্য সৃষ্টি হয়েছে- তাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।’

বিভিন্ন রাষ্ট্রের অতিরিক্ত সচেতনতামূলক পদক্ষেপের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফ্রিকার দেশগুলো যেন ক্ষতির শিকার না হয়- সতর্কবার্তা দিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি দক্ষিন আফ্রিকা ও বতসোয়ানাকে আরও একবার কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যে এত দ্রুত ভাইরাসের একটি নতুন ধরন শনাক্ত করা ও তা আমাদের জানানোর জন্য।’

‘এবং বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বতসোয়ানাকে কোনঠাসা করছে, তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। ইতোমধ্যে দেশটিতে এই ধরনে আক্রান্ত ২২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, ২৪ নভেম্বরের ৫ দিন আগে, ১৯ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত হয়েছিল ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী। দেশটির সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ ৩০ নভেম্বর জানিয়েছে এ তথ্য।

দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালিসহ ১৭ দেশে এই ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।