করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হতে পারেন ভাইরাসটির নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানী-গবেষকদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

দেশটির সংক্রামক রোগ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেসে কর্মরত বিশেষজ্ঞ অ্যানি ভন গোটবার্গ এএফপিকে বলেন, ‘গবেষণায় আমরা জানতে পেরেছি যে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও ওমিক্রণের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ নয়। ভাইরাসের এই ধরনটি তাদেরও আক্রান্ত করতে পারে।’

মানবদেহে কোনো ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করলে ভেতরকার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তাকে বাধা দেয় এবং পরাস্ত করে। জীবণু যদি শক্তিশালী হয়, সেক্ষেত্রে এই লড়াই চলে দীর্ঘ সময়; এবং এই সময়টিতেই নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভোগে মানুষ।

কোভিডের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি এমনই। অর্থাৎ, এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর যখন কেউ সুস্থ হয়- সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে যে, ওই ব্যক্তির সহজাত প্রতিরোধী শক্তি এই ভাইরাসটিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

এএফপিকে গোটবার্গ জানান, দক্ষিন আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্ত যত রোগী এ পর্যন্ত শণাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগীরই আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তারাই আমাদেরকে এই তথ্য জানিয়েছেন এবং আমদের বিশ্বাস শুধু রাজধানীতেই (জোহানেসবার্গ) নয়, পুরো দেশে একই অবস্থা।’

‘তবে আমরা এটিও বিশ্বাস করি যে, করোনা টিকা এখনও এই ধরনে আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।’

‘টিকার ওপর থেকে ভরসা হারানো কোনো কাজের কথা নয়। কারণ টিকা সবসময়ই গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।’

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। ইতোমধ্যে দেশটিতে এই ধরনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন শতাধিক। আক্রান্ত এই রোগীদের অধিকাংশই দেশটির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ গাউটেংয়ের।

এসএমডব্লিউ