ছবি: রয়টার্স

ভারতের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ ইউএনডিপি। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটির অন্তত ১০০ শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করবে জাতিসংঘ।

ভারতের কেন্দ্রীয় থিঙ্ক ট্যাংক সংস্থা নিতি আয়োগের সঙ্গে যুগপৎভাবে এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার জানিয়েছেন ইউএনডিপির ভারত শাখা ইউএনডিপি ইনডিয়ার উপ প্রতিনিধি নাদিয়া রশিদ।

নাদিয়া বলেন, ‘ভারতে যদিও মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের ৬০ শতাংশই পুনর্ব্যবহারযোগ্য বা রিসাইকেল করা হয়, কিন্তু তারপরও ৪০ শতাংশ বর্জ্য বাদ থেকে যায় এবং প্রতিবছর এই বর্জ্য জমতে জমতে বর্তমানে এখানে দুষণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি বড় অংশ হলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই কাজটি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। কারণ, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশের বাস ভারতে।’

ইউএনডিপির এই উপ প্রতিনিধি বলেন, ‘আগামী ৩ বছরের মধ্যে ভারতের অন্তত ১০০টি শহরে বর্জ্যব্যবস্থাপনা কর্মসূচিতে জনবল তিনগুণ করা হবে। নিতি আয়োগের সঙ্গে যুগপৎভাবে কাজ করবে ইউএনডিপি।’

‘পাশাপাশি, এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্যকে কিভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা যায়, সে বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। ভারত সরকারকে আমরা এই বিষয়ে সহায়তা করতে চাই।’

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ৩৪ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। ২০১৮ সাল থেকে দেশটিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মসূচি শুরু করেছে ইউএনডিপি। এ পর্যন্ত প্রায় ৮৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছে জাতিসংঘের এই উন্নয়ন সংস্থা।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতে ইউএনডিপির পরিচ্ছন্নতা অভিযান। তার মধ্যে সাধারণ প্লাস্টিক বর্জ্যের সঙ্গে মেডিকেল প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে অকল্পনীয় পরিমাণে বেশি।

রয়টার্সকে নাদিয়া রশিদ বলেন, ‘২০২০ সালের দীর্ঘসময় ধরে লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে সাধারণ জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ কারণে বার বার আমাদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এই কার্যক্রম আবার পুরো দমে শুরু করার জন্যই জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচি প্রণয়ন সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস এনভায়ার্নমেন্ট প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২০৪০ সালে মধ্যে বর্তমানের তুলনায় তিনগুণ বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হবে বিশ্বে। তার মধ্যে সাগর-মহাসাগরগুলোতে প্রতিবছর যাবে ২৩ থেকে ৩৭ লাখ টন বর্জ্য।

এসএমডব্লিউ