যুক্তরাজ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ। দেশটিতে বর্তমানে প্রতি ৬০ জন মানুষের মধ্যে ১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী আছেন বলে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস)।

ওএনএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যানটি ২৭ নভেম্বরের, অর্থাৎ গত সপ্তাহের। তার আগের সপ্তাহে দেশটিতে প্রতি ৬৫ জন মানুষের মধ্যে ১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী ছিলেন।

তবে করোনার অতি সংক্রামক রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের জন্য যুক্তরাজ্যের সংক্রমণ বাড়ছে- এমন নয়।। ওএনএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং এখনও হচ্ছেন, তারা সবাই ভাইরাসটির অতি সংক্রামক রূপান্তরিত ধরন ডেল্টার শিকার।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মোট ৪২ জন। এই ধরনটির বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যে ভ্রমণ বিধিনিষেধে কড়াকড়ি আরোপ ও জনসমক্ষে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছেন গত সপ্তাহে।

তবে শুক্রবারের বিজ্ঞপ্তিতে ওএনএস জানিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে কোভিডে এবং দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতির এই ভয়াবহ চিত্রের জন্য কেবলমাত্র দায়ী ডেল্টা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে ১ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত। তারচেয়ে অধিক বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক রবি গুপ্ত এ সম্পর্কে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখন দেশের শিশুরা ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন- তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন ডেল্টা ধরনে।’

‘সুতরাং ওমিক্রন ডেল্টার স্থান পুরোপুরি দখল করতে পারবে- এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বজুড়ে ডেল্টার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, সেই তুলানা ওমিক্রণের বিস্তারের গতি বেশ কম।’

এসএমডব্লিউ