২০২২ সালে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিক কূটনৈতিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনীতিক শীতকালীন ওই অলিম্পিকে অংশ নেবেন না। তবে মার্কিন অ্যাথলেটরা সেখানে অংশ নিতে পারেন।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর মাধ্যমে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ২০২২ সালে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে না। চীনের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অবশ্য কূটনৈতিকভাবে বেইজিং অলিম্পিক বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হলেও হোয়াইট হাউস বলছে, মার্কিন অ্যাথলেটরা ইভেন্টে অংশ নিতে বেইজিংয়ে যেতে পারেন এবং এ বিষয়ে মার্কিন সরকারের পুরোপুরি সহযোগিতা থাকবে।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন যে, ২০২২ সালের শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিক বয়কটের বিষয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন। এরপরই চীন জানিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিং অলিম্পিক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলে ‘দৃঢ় পাল্টা ব্যবস্থা’ নেবে চীনা প্রশাসন।

মার্কিন কূটনীতিকদের অলিম্পিক ইভেন্ট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, অলিম্পিকের জৌলুস বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কেউই সেখানে অংশ নেবেন না।

চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষত জিনজিয়াং প্রদেশে লাখ লাখ মুসলিম উইঘুরদের আটক এবং হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি শক্তির বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বেইজিং অলিম্পিকে কূটনৈতিক বয়কটের কথা বিবেচনা করছেন বলে জানানোর পর চূড়ান্ত ভাবে সেই সিদ্ধান্তই নিলো দেশটি। আগামী ৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে।

টিএম