ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সেমেরুতে অগ্নুৎপাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৭ জন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখপাত্র আবদুল মুহারি বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার এএফপিকে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা উপদ্রুত এলাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে।’

‘এছাড়া ওই অঞ্চলে আমাদের উদ্ধার তৎপরতাও জারি আছে। কর্মীরা এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন, নিখোঁজ আছেন আরও ১৭ জন।’

শনিবার জাভার বৃহত্তম পর্বত মাউন্ট সেমেরুতে অগ্নুৎপাত শুরু হওয়ার পর তা থেকে সৃষ্ট ছাইয়ের স্তুপের তলায় চাপা পড়ে অন্তত ১৩ টি গ্রাম। অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট লাভায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন।

আবদুল মুহারি জানান, অগ্নুৎপাতের কারণে দমবন্ধ করা ধোঁয়া ও আগ্নেয় লাভার ফলে সৃষ্ট কর্দমাক্ত রাস্তাঘাটের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় কাঙ্ক্ষিত গতি আনতে পারছেন না কর্মীরা। বর্তমানে আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাবশেষ ও ভেঙে পড়া ভবনগুলোতে জীবিত কেউ আছেন কি না-ে তৎপরতায় সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মুহারি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সক্রিয় হওয়া শুরু করে আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট সেমেরু। তারপর রবি ও সোমবার অগ্নুৎপাত অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবারও বিকেল পর্যন্ত তিন দফা লাভা উদ্গীরণ করেছে মাউন্ট সেমেরু।

ভৌগলিকভাবে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার অঞ্চলে। এই অঞ্চলের কন্টিনেন্টাল প্লেটগুলোর স্থানন্তরের কারণে দেশটিতে সবসময় ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের ঝুঁকি থাকে।

পুরো ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংখ্যা ১৩০।

এসএমডব্লিউ