নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে দই কেনার অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন পাকিস্তানের এক ট্রেনচালক। বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ ইজাজ উল হাসান শাহ।

গত সোমবার পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় একটি চলন্ত ট্রেন থামার পর ট্রেন চালকের সহকারি ট্রেন থেকে নেমে সড়কের পাশের একটি দোকান থেকে দই কিনে ফের গাড়িতে উঠেছেন।

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও যাচাই করে এএফপি নিশ্চিত হয়েছে- যেখানে ট্রেনটি থামানো হয়েছিল সেখানে বা তার আশপাশের কোনো এলাকায় স্টেশন নেই এবং নিয়ম অনুযায়ী, সেখানে ট্রেন থামানোর কথাও নয়। কেবল নিজের জন্য দই কিনতেই সেখানে ট্রেনটি থামানো হয়েছিল।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। যে ট্রেনটি থামানো হয়েছিল- সেটি ছিল আন্তনগর ট্রেন। লাহোর থেকে করাচির দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি।

সৈয়দ ইজাজ উল হাসান এএফপিকে বলেন, ‘যখন আপনি কোনো স্টেশনের পরিবর্তে পথের মাঝখানে ট্রেন থামাবেন, সে সময় এটি নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে যায়।’

‘আমরা নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই এবং এমন কোনো কাজকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না যা জনগণের ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে।’

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী আজম খান সোয়াতি এএফপিকে বলেন, ‘জাতীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা কখনোই বরদাশত করা হবে না।’

অবশ্য পাকিস্তান রেলওয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ট্রেন চালকের খেয়ালখুশি মতো চলার ঘটনা পাকিস্তানে নতুন নয়। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে এবং নজরদারি না থাকার কারণে সেগুলো সামনে আসে না।

গত জুন মাসে পাকিস্তানে একটি ট্রেন এরকম পথমধ্যে থেমেছিল। সে সময় একই লাইনে মুখোমুখি ছুটে আসা আর একটি ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছিলেন ৬০ জন মানুষ।

এসএমডব্লিউ