হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত সস্ত্রীক মারা গেছেন। বুধবার এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টারটি তামিলনাড়ুর কুন্নুরের ভেঙে পড়ে। যদিও হেলিকপ্টারটি বেশ নিরাপদ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর এতো গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ কর্মকর্তার হেলিকপ্টার কীভাবে ভেঙে পড়ল? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

কেন এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে। এদিকে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার নেপথ্যে এই সম্ভাব্য কারণগুলো থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কোনো কারণই এই ঘটনার ক্ষেত্রে সুনিশ্চিত নয়, দাবি তাদের। সম্ভাব্য কারণগুলো হলো-

খারাপ আবহাওয়া

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খারাপ আবহাওয়া হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বড় কারণ হতে পারে। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যে সময় দুর্ঘটনা ঘটে তখন সংশ্লিষ্ট অঞ্চল কুয়াশায় ঢাকা ছিল। ফলে দৃষ্টিসীম কমে আসে। এমআই-১৭ভি৫-এর সাবেক পাইলট অমিতাভ রঞ্জন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হতে পারে খারাপ আবহাওয়া। এদিন আকাশ পরিষ্কার ছিল না।

পাওয়ার লাইন

একটি নির্জন এলাকায় ভেঙে পড়েছিল হেলিকপ্টারটি। সেক্ষেত্রে পাওয়ার লাইনে সমস্যা থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।

যান্ত্রিক গোলোযোগ

অমিতাভ রঞ্জন এক সাক্ষাৎকারে জানান, এই হেলিকপ্টারটি নতুন ছিল না। সেক্ষেত্রে তার পাইলট যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল। এই হেলিকপ্টার অত্যন্ত ভরসাযোগ্য। এমনকি, ভিভিআইপিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও তা ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে হেলিকপ্টারটির কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি-না সেটি তদন্ত করে দেখা যেতে পারে।

উচ্চতা

হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ার আগে কোন উচ্চতায় তা ছিল সেই নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বুধবার স্থানীয় সময় ১২টা ৪০ মিনিটে নীলগিরির কাছে ভেঙে পড়ে এই হেলিকপ্টারটি। স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতসহ ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়া। ব্রিগেডিয়ার এল এস লিড্ডার, লেফট্যানান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, এনকে গুরসেবক সিং, জিতেন্দ্র কুমার, লে/এনকে বিবেক কুমার, লে/এনকে বি সাই তেজা, হাভ সৎপালসহ ১৪ জন ছিলেন। তাদের ১৩ জনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। বিপিন রাওয়াতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই সময়।

ওএফ