চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি মূল্যায়নধর্মী প্রতিবেদন শিগগিরই প্রকাশ করবে জাতিসংঘ। শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিলে।

কোলভিলে জানান, বছরখানেক আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূত চীনর জিনজিয়াং সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে উইঘুর ইস্যুতে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছিল, সেসবের ওপর ভিত্তি করেই এ প্রতিবেদনটি আগামী সপ্তাহের দিকে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে ব্রিটেনের আইনজীবীদের গঠিত আন অফিশিয়াল ট্রাইব্যুনাল জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, নির্যাতনের বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করেছিল।

জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রাখার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক শ্রমদান, নির্যাতন ও উইঘুর নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। তবে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীনের সরকার।

কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করলেও জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ক্যাম্পে এ পর্যন্ত কোনো বিদেশী পর্যবেক্ষককে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি চীনের সরকার।

কোলভিলে রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ক্যাম্পে বেইজিং যেসব পদ্ধতিগত নির্যাতন চালাচ্ছে সেসবের প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। প্রতিবেদনে এগুলো উপস্থাপন করা হবে।’

চীনের সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য আগে এ সম্পর্কে বলা হয়েছিল, পশ্চিমা শক্তিগুলো জিনজিয়াং পরিস্থিতি নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়াচ্ছে; কিন্তু সাম্প্রতিক জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে দেশটির সরকারের মুখপাত্রদের মন্তব্য চাওয়া হলে কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

এসএমডব্লিউ