করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম করোনা টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে এই তথ্য।

গবেষণা প্রতিবেদনটির এখনও পিআর রিভিউ হয়নি, তবে এর মধ্যে দিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার সঙ্গে সমান কাতারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

অক্সফোর্ড গবেষকরা জানিয়েছেন, এই টিকার দু্ই ডোজ করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রামক ধরন ডেল্টাকে ঠেকাতে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি মানবদেহে তৈরি করতে পারে, এই টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজও ওমকিক্রনকে ঠেকাতে ঠিক সেই পরিমাণ, অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম।

সাম্প্রতিক এই গবেষণার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তিন ধরনের স্বেচ্ছাসেবীর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছেন। প্রথম দলের সদস্যরা টিকা নেননি, তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকি দুই দলের মধ্যে একটির সদস্যরা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এবং অপরটির সদস্যরা নিয়েছেন টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ।

সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী মেনে প্যাঙ্গালোস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বুস্টার ডোজ মানবদেহে টি সেলের উপস্থিতি লক্ষনীয়ভাবে বাড়ায়। ওই ভাইরাসটি (ওমিক্রন) সম্পর্কে এ পর্যন্ত যতখানি জানা গেছে, তাতে এটি পরিষ্কার যে, টিকার বুস্টার ডোজের ফলে সৃষ্ট টি সেলগুলো ওমিক্রণকে নিষ্ক্রিয় করতে খুবই কার্যকর।’

এমনকি, করোনায় একবার আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের দেহে যে পরিমাণ টি সেলের উপস্থিতি থাকে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার বুস্টার ডোজ তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টি সেল উৎপন্ন করতে পারে মানবদেহে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ অবশ্য মঙ্গলবার জানিয়েছিল- ওমক্রিন ঠেকানোর উপযোগী টিকা আনতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে কোম্পানি। তবে মধ্যেই এই সংবাদ নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির জন্য আশাব্যাঞ্জক।

এসএমডব্লিউ