মহামারি করোনাভাইরাসের ‘ভুয়া টিকা’ তৈরির মতো অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশের আশি জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে চীন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এমন অভিযান চালাচ্ছে বেইজিং। 

কয়েক মাস ধরেই মানুষের কাছে ভুয়া টিকা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি অসাধু চক্র।

চীনার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী তিন সহস্রাধিক ভুয়া কোভিড-১৯ টিকার ডোজ তৈরির অপরাধে জিয়াংশু, বেইজিং এবং শ্যানডংয়ের পুলিশ বিভাগ আশি জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।  

সিনহুয়া লিখেছে, চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভুয়া টিকা উৎপাদন ও বিক্রয় সম্পর্কিত অপরাধ এবং টিকার আড়ালে মেডিসিন ও এসব জালিয়াতির মতো বেইআনি কাজের তদন্ত শুরু করেছে।

সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানতে পেরেছে যে, জড়িত চক্রটি সেপ্টেম্বরের পর থেকে ভুয়া টিকা তৈরি ও উচ্চমূল্যে বিক্রির জন্য ইনজেকশনে স্যালাইন ব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল মুনাফা অর্জন করেছে। 

চীন দেশীয়ভাবে সিনোভ্যাকের ও সিনোফার্ম নামে দুটি কোম্পানির উদ্ভাবিত করোনা টিকার মাধ্যমে দেশের মানুষকে টিকা দিচ্ছে। চীন ছাড়াও তুরস্কসহ আরও বেশ কিছু দেশের মানুষকেও এসব টিকা দেওয়া হচ্ছে।

চীনা এই দুই কোম্পানি প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল যে তাদের টিকাগুলো ৭৮ শতাংশের বেশি কার্যকর ছিল। তবে ব্রাজিলে চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালে দেখা গেছে সিনোভ্যাকের টিকা ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ কার্যকর।

কিছু দেশ এই টিকার পর্যালোচনাধীন রেখে এটি মানুষকে দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত করে রাখা এবং বিজ্ঞানীদের এই টিকা সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রকাশের আহ্বান সত্ত্বেও সিনোভ্যাক অবশ্য এমনটা স্বীকার করছে না।

চীনের সরকারি মালিকানাধীন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোফার্ম— এই টিকা দিয়েই চীনে প্রথম করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়— তাদের টিকা ট্রায়ালে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকর ছিল।

এএস