ছবি: এবিপি

ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীর জন্য ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলইন।

পাশাপাশি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকাও বড় করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে যেখানে ১০টি দেশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, শুক্রবার এই তালিকায় আরও ৯ দেশকে যোগ করার ফলে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯টিতে।

শুক্রবারের আদেশে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার থেকে ভারতে বাইরের দেশ থেকে যেসব যাত্রী আসবেন, তাদের সবাইকে অবশ্যই ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং তার পর আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হবে। টেস্টে যারা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হবেন, তাদেরকে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং তাদের নমুনার জিনোম টেস্টিং হবে।

আর যারা টেস্টে নেগেটিভ হিসেবে শনাক্ত হবেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পরবর্তী সাতদিন নিজেদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে এবং যতদিন তারা ভারতে থাকবেন, ততদিন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে । 

ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর যাত্রীরা ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে কাটানোর পর আরটিপিসিআর টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও তার সাত দিন পর ফের টেস্ট করাতে হবে তাদের।

গত বছর করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রাদুর্ভাবে ভারতে দেখা দিয়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, যার ধক্কায় ছারখার হয়ে গিয়েছিল দেশটির জনজীবন। কয়েকমাস বিরতির পর ওমিক্রনের প্রভাবে ফের ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে।

গত ২৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভারতে যেখানে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ হাজার, সেখানে মাত্র সাত দিন পর, ৬ জানুয়ারি দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১০০ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তামানে প্রতিদিনই আগের দিনের চেয়ে ২৫-২৮ শতাংশ পর্যন্ত সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।

ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৬ জন এবং এ রোগে সেখানের মৃত্যু হয়েছে মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৮ জনের।

২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় মোট মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় শীর্ষস্থানে আছে ভারত।

এসএমডব্লিউ