বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ। দেশে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। এরমধ্যে এক নারীর ১৩ বছর বয়সী ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তাই নিজেকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে নিজের ছেলেকেই গাড়ির পেছনে থাকা ট্রাংকে আটকে রাখেন ওই মা।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও এনডিটিভি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ছেলেকে গাড়ির ট্রাংকে আটকে রাখা ওই নারীর নাম সারা বিম। ছেলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর পেশায় শিক্ষিকা ওই নারী খুবই চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।

একপর্যায়ে অসুস্থ ছেলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য গাড়িতে তোলেন তিনি। কিন্তু গাড়ির আসনে না বসিয়ে পেছনের ট্রাংকে ঢুকিয়ে দেন সারা। ওই অবস্থাতেই গন্তব্যে পৌঁছায় মা ও ছেলে।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, পরীক্ষাকেন্দ্রে সারার গাড়ি থামতেই গাড়ির ট্রাংকের ভেতর থেকে বাচ্চা ছেলের কান্নার আওয়াজ পান তারা। সন্দেহ হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রের বাকি লোকজনকে তারা সেখানে ডেকে আনেন। পরে ট্রাংক খুলতেই সকলে অবাক হয়ে যান।

তারা দেখেন, ভেতরে একটি বাচ্চা ছেলে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে রয়েছে। এরপরই সারাকে আটক করেন স্থানীয়রা।

পেশায় শিক্ষিকা সারা জানান, ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তার পরীক্ষা করাতেই এখানে নিয়ে এসেছেন তিনি। ছেলের কাছ থেকে যেন তিনি করোনায় সংক্রমিত না হন, তাই গাড়ির পেছনে ট্রাংকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি তার।

অবশ্য মায়ের এই যুক্তিতে ছাড় দেননি স্থানীয়রা। কাণ্ডজ্ঞানহীন এমন কাজের কারণে পুলিশকে খবর দেন তারা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সারাকে আটক করে পুলিশ।

টিএম