করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে কার্যকর কোভিড-১৯ টিকা আগামী মার্চ মাসে প্রস্তুত হবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার। সোমবার (১০ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নিজেই এই তথ্য সামনে এনেছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’কে জানিয়েছেন, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে কার্যকর টিকার বিষয়ে বিশ্বের বহু দেশের সরকারের আগ্রহ রয়েছে। কারণ করোনা টিকা নেওয়ার পরও বহুসংখ্যক মানুষ ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন। আর তাই ফাইজার এই টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে।

সংবাদমাধ্যমটিকে বোরলা আরও জানান, ‘আগামী মার্চে এই ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমি জানি না এই টিকা আমাদের প্রয়োজন হবে কি না। আমি এও জানি না এটি আসলে আমরা কীভাবে কাজে লাগাব।’

ফাইজারের এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতে বিদ্যমান দুই ডোজ টিকার প্যাকেজটি এবং একটি বুস্টার ডোজ এখনো মানুষকে ‘যথেষ্ট’ সুরক্ষা দিচ্ছে।

কিন্তু করোনার অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে সরাসরি টার্গেট করে কোনো টিকা প্রস্তুত করা হলে এর মাধ্যমে মৃদু উপসর্গ থাকা বা অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গহীন রোগীদেরও ভালো সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র সঙ্গে পৃথক এক সাক্ষাৎকারে মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফান ব্যানসেল জানিয়েছেন, তারা করোনা টিকার একটি বুস্টার ডোজ তৈরির কাজ করছেন। এটি শেষ হলে টিকার ওই বুস্টার ডোজটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ ভাইরাসের অন্য আরও সম্ভাব্য ধরনগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।

টিএম/জেএস