ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে লোকজনকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ডেনমার্ক। কোভিড-১৯ সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে শিগগিরই এ ডোজ দেওয়া হবে। তবে এটি আদতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কতটুকু ভূমিকা রাখবে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে দেশটির একটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজের অনুমোদন দেয় ইসরায়েল। মূলত ভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরনের কারণে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই অনুমোদন দেয় ইহুদি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদেরই টিকার চতুর্থ ডোজ দিচ্ছে ইসরায়েল। 
 
ডেনমার্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাগনাস হুনেকি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে। সমাজে করোনা সংক্রমণ যত বেশি বিস্তার লাভ করবে, তাদের (ঝুঁকিতে থাকা) তত বেশি সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে, যোগ করেন তিনি।

চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ টিকাকরণের এ কার্যক্রম শুরু হবে, গত বছরের শীত মৌসুমে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তারা চতুর্থ ডোজ পাওয়ার বিবেচিত হবেন বলেও জানান ম্যাগনাস। এছাড়া ডেনমার্ক সরকার বয়স্ক ও বাসায় চিকিৎসাধীন নাগরিকদের আরেকটি ডোজ (কততম তা বলা হয়নি) দেওয়ার চিন্তা করছে বলে কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ওমিক্রনের বিস্তার রোধে গত মাসে ডেনমার্কে মুভি থিয়েটার, মিউজিক ভেন্যু, স্পোর্টস স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও দেশটিতে ভাইরাসের মিউটেশনের সঙ্গে নতুন সংক্রমণের একটি ঢেউ চলেছে, তবে মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম রয়েছে। যে কারণে বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলো ফের চালু করার পরিকল্পনা করছে সরকার।

ড্যানিশ হেলথ এজেন্সির প্রধান সোরেন ব্রস্টর্ম বলেন, ধারণা ও ভয় পাওয়ার মতো অবস্থার চেয়ে আমরা ভালো আছি। আমরা এখন নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এই নতুন ধরন কম রোগ সৃষ্টি করে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ডেনমার্কে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৩৩ জন।

সূত্র : আরটি

জেডএস