যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে নিরাপত্তা আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে ‌এখনও মতবিরোধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, জেনেভা এবং ব্রাসেলসে এ পর্যন্ত দুই দফা আলোচনায় সামান্য কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। এসব আলোচনায় মস্কো বাস্তব ফলাফল চায়।

ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই)-র সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকটি বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় স্থানান্তরিত করা হয়। পশ্চিমাদের কাছে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের বিষয়গুলো নিয়েই মূলত ওই আলোচনা হয়।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করতে চায়- যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিকে নাকচ করে মস্কো বরাবরই বলে আসছে, ইউক্রেনকে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

একইসঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলছেন যে, তারা নিজেদের ভূখণ্ডের যেকোনো জায়গায় সেনা মোতায়েনের অধিকার রাখে। এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য মূলত ন্যাটোকেই দোষারোপ করছে মস্কো।

এদিকে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত ৩০ বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কা এখন সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা পূর্ব ইউরোপে সম্ভাব্য একটি বড় সামরিক সংঘাতের সম্মুখীন হয়েছি।’

সরসারি রাশিয়ার নাম উচ্চারণ না করে তিনি বলেন, ইউক্রেন, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া এবং মলদোভায় উত্তেজনা চলছে। মূলত এই দেশগুলোতে চলমান সক্রিয় বা স্তিমিত দ্বন্দ্বের সঙ্গে রাশিয়া জড়িত রয়েছে।

টিএম