সমুদ্রের তলদেশের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের পর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টোঙ্গার বৃহত্তম দ্বীপ টোঙ্গাতাপুতে সুনামি আঘাত হেনেছে। সুনামির কারণে দেশটির রাজধানী নুকু’আলোফায় সাগরের পানির বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সক্রিয় দেশটির আগ্নেয় পর্বত হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে সাগরে বড় বড় ঢেউ দেখা দিয়েছে। এছাড়া আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে নির্গত ছাই, গ্যাস ও ধোঁয়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঁচুতে উঠেছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, রাজধানীতে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে আগ্নেয়গিরির ছাই।

নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম রেডিও নিউজিল্যান্ড (আরএনজেড) বলছে, শনিবার সমুদ্রের তীর উপচে পানির ঢেউ টোঙ্গার রাজধানী নুকু’আলোফায় ঢুকে পড়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকার রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়েছে এবং পানিতে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

এর আগে, সমুদ্রের তলদেশের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের পর টোঙ্গায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। টোঙ্গা ছাড়াও প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল ও ফিজিতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রেডিও নিউজিল্যান্ড বলছে, হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই আগ্নেয়গিরিতে শুক্রবার প্রথম অগ্ন্যুৎপাতের শুরু হয়। এর ফলে আকাশের ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ধোয়ার কুণ্ডলী পৌঁছায়।

স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বারের মতো এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টোঙ্গার রাজধানী নুকু’আলোফায় প্রায় ৪ ফুট উচ্চতার সুনামির ঢেউ আঘাত করেছে। নুকু’আলোফাতে আকাশ থেকে ছাই বৃষ্টির মতো পড়ছে এবং রাজধানী এই শহরে মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। 

আরএনজেড বলছে, টোঙ্গার ফোনুয়াফো দ্বীপের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আগ্নেয়গিরিটির অবস্থান। টোঙ্গার আবহাওয়া বিভাগ জরুরি সতর্কতা জারি করেছে বলেছে, দেশে ভারী বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা এবং তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে।

এসএস