ইসলামি সহযোগিতা সংস্থায় (ওআইসি) ইরানের প্রতিনিধি অফিস পুনরায় চালু করতে সৌদি আরবের জেদ্দায় তেহরানের তিনজন কূটনীতিক পৌঁছেছেন। সোমবার ইরানের আধা-সরকারি এক গণমাধ্যম ইরানের ওই তিন কূটনীতিকের সৌদি আরবে পৌঁছানোর খবর জানিয়েছে। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

মুসলিম বিশ্বের ৫৭ সদস্য দেশের এই সংগঠনের সদর দফতর সৌদি আরবে অবস্থিত। ছয় বছর আগে উভয় দেশের মধ্যে কূটনীতিক অচলাবস্থা তৈরির পর জেদ্দায় নিজেদের ওআইসি প্রতিনিধি অফিস বন্ধ করে দেয় ইরান। অর্ধযুগ পর সেই অফিস পুনরায় চালু করতে ইরানি কূটনীতিকরা জেদ্দায় পৌঁছেছেন।

সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ তেহরানের কূটনীতিকদের জেদ্দায় পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, জেদ্দায় ওআইসি প্রতিনিধি অফিস পুনরায় চালুর উদ্যোগের সাথে জড়িত তিন কূটনীতিক সৌদি আরবের ভিসা পেয়েছেন।

তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, সৌদি আরবে দূতাবাস পুনরায় চালু করতেও প্রস্তুত আছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। তবে এটি সৌদি আরবের বাস্তব প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করছে।

২০১৬ সালে তেহরানে সৌদি আরবের দূতাবাসে এবং মাশশাদ শহরের কনস্যুলেটে হামলা হওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে; যা শেষ পর্যন্ত ছিন্ন হয়ে যায়। সুন্নি-সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরবে শিয়া ধর্মীয় এক নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে ওই হামলা হয়।

কিন্তু গত বছরের এপ্রিলের দিকে ইরাকের মধ্যস্থতায় বাগদাদে আঞ্চলিক চিরবৈরী এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঝে চার দফায় প্রত্যক্ষ আলোচনা হয়। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এই উদ্যোগে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটছে বলে জানায় ইরাক। পঞ্চম দফায় আবারও উভয় দেশের কর্মকর্তাদের আলোচনায় বসার প্রস্তুতি চলছে। 

গত সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সৌদি আরব আঞ্চলিক কিছু ইস্যুতে আলোচনার জন্য আগ্রহী। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের বোঝাপড়ার কেন্দ্রে আছে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় এবং সম্পর্ক কখন স্বাভাবিক হবে সেটি।’

দীর্ঘমেয়াদী আঞ্চলিক সব সংকটের সমাধানের জন্য উভয় দেশের ‌‘ঘনিষ্ঠ সংলাপ’ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসএস