ছবি: এনডিটিভি

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ফারইয়াবে বিক্ষোভ দমনে সেখানে সশস্ত্র সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে তালেবানগোষ্ঠী। পাশাপাশি, প্রদেশজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে তালেবান রক্ষীবাহিনীর শত শত সদস্য।

রোববার প্রাদেশিক রাজধানী মায়মানাতে এই কুচকাওয়াজ হয়েছে উল্লেখ করে সোমবারেরর এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, একটি অপহরণের ঘটনার সঙ্গে সেখানকার তালেবান বাহিনীর এক কমান্ডারের যুক্ততার অভিযোগকে ঘিরে কয়েকদিন আগে বিক্ষোভ শুরু হয় ফারইয়াবে।

ফারইয়াব প্রদেশটি আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানের সীমান্তবর্তী। যে কমান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনিও উজবেক বংশোদ্ভূত। কয়েক বছর আগে তালেবানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফারইয়াবের পশতুভাষী আফগান ও উজবেক বংশোদ্ভূতদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ি পড়ে এবং এক পর্যায়ে বিচ্ছিন্নভাবে প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় সংঘাত।এসব সংঘাতে দুই গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।  

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে- উল্লেখ করে এএফপিকে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লতিফুল্লাহ হাকিমি বলেন, ‘অভিযুক্ত কমান্ডারকে আমরা গ্রেফতার করেছি। পাশাপাশি, ফারইয়াবে পরিস্থিতি শান্ত রাখা ও সেখানকার তালেবান রক্ষীবাহিনীকে সহায়তা করতে আশ-পাশের প্রদেশগুলো থেকে আরও কয়েকশ তালেবান রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।’

রোববার মায়মানায় তালেবান রক্ষীবাহিনীর কয়েক শ’ সদস্য তাদের সামরিক সাজে সজ্জিত হয়ে ভারি অস্ত্রশস্ত্রসহ কুচকাওয়াজ করেন। বিক্ষোভ দমনের অংশ হিসেবেই এই কুচকাওয়াজ করা হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন লতিফুল্লাহ হাকিমি।

ফারইয়াবের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী রুহুল্লাহ এএফপিকে প্রদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘দু’দিন আগে এখানকার পরিস্থিতি অশান্ত ছিল, কিন্তু এখন সব স্বাভাবিক।’

পেশায় দোকানদার রুহুল্লাহ আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু মূল সমস্যা হলো বেকারত্ব। প্রদেশের অধিকাংশের হাতেই কোনো কাজ নেই এবং এই হার দিন দিন বাড়ছে।’

এসএমডব্লিউ