করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে জাপানে। মঙ্গলবার দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে জাপানের টেলিভিশন চ্যানেল টিবিএস জানিয়েছে এ তথ্য। মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রশাসনিক অঞ্চল ওসাকায়; সেখানে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৬ জন।

তার পরই দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজধানী টোকিও। মঙ্গলবার রাজধানীতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন।

জাপানের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথম দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ২৭ হাজার অতিক্রম করল জাপান। এর আগে ২০২১ সালের ২১ আগস্ট ২৭ হাজারের কিছু কম সংখ্যক রোগী করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন।

টোকিওসহ জাপানের ১২টি প্রশাসনিক অঞ্চলে দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তার সব নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জাপানের অর্থমন্ত্রী দাইশিরো ইয়ামাগিওয়া। সংক্রমণ লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকলে দেশের স্বাস্থ্যসেবাখাতে সীমাহীন চাপ পড়বে বলে শঙ্কাও জানিয়েছেন তিনি।

সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জাপানের জাতীয় দৈনিক ইয়োমিউরি জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাপানের ১২ প্রশাসনিক অঞ্চলের গভর্নররা জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, রেস্তোরাঁ, পানশালা ও দোকান-পাট খোলা ও বন্ধের সময়সূচি নির্ধারণসহ আধা-জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন।

২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত জাপানে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মোট ১৯ লাখ ৩ হাজার ১৯০ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ১৮ হাজার ৪৩৪ জন। এছাড়া বর্তমানে জাপানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৬২০।

এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি দৈনিক সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের হারও। রাজধানী টোকিওতে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীর হার বেড়েছে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

টোকিও স্বাস্থ্যসেবা দফতরের কর্মকর্তারা বলেছেন- এই হার যদি ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়, সেক্ষেত্রে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে রাজধানীর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

এসএমডব্লিউ