ছবি: রয়টার্স

আলবেনিয়া, গ্রিস, ইতালি- এই তিন ভূমধ্যসাগরীয় দেশে একযোগে অভিযান চালিয়ে একটি মানবপাচারকারী গ্যাংয়ের ২৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইউরোপীয় পুলিশ। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গ্রিসের পুলিশ বাহিনী।

সেই বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেফতার অপরাধীরা বিনিময়ে ভূমধ্যসাগরের তুরস্ক উপকূল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌপথে পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বিপুল পরিমাণ নগত অর্থের বিনিময়ে তারা এই কাজ করে থাকে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই মানবপাচার ব্যবসার সঙ্গে কয়েকটি অপরাধী নেটওয়ার্ক যুক্ত। গ্রেফতাররা ওইসব নেটওয়ার্কের একটির সদস্য। পৃথক এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় পুলিশবাহিনী ইউরোপোল জানিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে পাচার করেছে গ্রেফতার অপরাধীরা; বিনিময়ে প্রত্যেক অভিবাসনপ্রত্যাশীর কাছ থেকে নিয়েছে ৫ হাজার ইউরো।

সমুদ্রপথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাচারে যে নৌযাগুলো ব্যবহার করে এই চক্র- সেসবের অধিকাংশই গ্রিস কিংবা তুরস্কের বিভিন্ন জেটি থেকে চুরি করা বলেও উল্লেখ করেছে ইউরোপোল।

তুরস্কে এই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য আছে। তবে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়ায় সেখানে অভিযান চালাতে পারেনি ইউরোপোল।

ভূমধ্যসাগরের এক তীরে তুরস্ক, তিউনিশিয়া ও লিবিয়া এবং অপরতীরে গ্রিস, ইতালি ও স্পেন। গত ২০১৫ সাল থেকে তুরস্ক, লিবিয়া ও তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে ইউরোপের ইতালি বা স্পেনে যাওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের।

কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দালালদের মাধ্যমে সাগরপাড়ি দেওয়ার এই বিপদসঙ্কুল পথ বেছে নিতে বাধ্য হন এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। যাত্রাপথে খারাপ আবহাওয়া, ও ইঞ্জিন বিকল বা নৌকা ফুটো হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।

গত ডিসেম্বরেই তুরস্কের উপকূল থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে পৃথক তিনটি নৌ দুর্ঘটনায় ৩০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী সাগরে ডুবে মারা গেছেন, নিখোঁজ হয়েছেন আরও শতাধিক।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ