পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর কয়েকটি সেনা শিবিরে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। রোববার সকালের দিকে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও দেশটির সরকার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের খবর অস্বীকার করেছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদৌগৌর স্যানগৌল লামিজানা সেনা শিবিরে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। এই শিবিরে দেশটির সেনাবাহিনীর সাধারণ কর্মীরা থাকেন এবং সেখানে একটি কারাগার রয়েছে।

দেশটিতে ২০১৫ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সাথে জড়িত সেনাসদস্যরা লামিজানার এই কারাগারে আছেন। রয়টার্সের ওই প্রতিনিধি পরে সেনা শিবিরের সৈন্যদের আকাশে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন। এছাড়া ওয়াগাদৌগৌর বিমানবন্দরের কাছেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ওয়াগাদৌগৌ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরের কায়া এলাকার একটি সেনা শিবিরেও গোলাগুলি হয়েছে।

কয়েকটি সেনা শিবিরে গোলাগুলির তথ্য নিশ্চিত করেছে বুরকিনা ফাসোর সরকার। তবে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়েছে, তা অস্বীকার করেছে সরকার।

সরকারি টেলিভিশনে কথা বলার সময় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল বাথেলমি সিম্পোর প্রেসিডেন্ট রোচ মার্ক ক্যাবোরকে সেনাবাহিনীর আটকের গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, একাধিক সেনা শিবিরে গোলাগুলির কারণ এখনও পরিষ্কার নয়।

সিম্পোর বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান আটক হননি। এছাড়া দেশের কোনও প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের উদ্দেশ্য অথবা দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে জানি না। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তবে কিছু কিছু সেনা ব্যারাকে শান্তি ফিরেছে।

গত ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে মালি ও গিনিতে সফল অভিযানের পর পশ্চিম এবং মধ্য-আফ্রিকার দেশগুলোর সরকার অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করছে। গত বছর চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যাওয়ার পর দেশটির ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস