ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভারতে গত জানুয়ারিতে করোনা সংক্রমণ অনেক বেড়ে যায় (ফাইল ছবি)

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়ার সময় সংক্রমণের শীর্ষ ছিল দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র। রাজ্যটির রাজধানী মুম্বাইতেও ব্যাপকভাবে বেড়েছিল করোনা সংক্রমণ। পাশাপাশি সেখানে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ে পাল্লা দিয়ে। বর্তমানে সার্বিকভাবে সংক্রমণ কমলেও চাপা উদ্বেগ বিরাজ করছে এই বাণিজ্য নগরীতে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাইতে শেষ রাউন্ডে হওয়া জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ নমুনার মধ্যেই ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ডিসেম্বর মাসে করোনার এই অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের কারণেই ভারতে শীর্ষে উঠেছিল সংক্রমণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ে ১৯০টি করোনা নমুনার মধ্যে ১৮০টি নমুনাতেই ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শতাংশের হিসেবে যা ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ৩টি নমুনার মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি রয়েছে যা শতাংশের হিসেবে ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (বিএমসি) প্রকাশিত বিবৃতি থেকেই এই তথ্যই উঠে এসেছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যে ১৯০ জন রোগীর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল তার মধ্যে ২৩ জন রোগী আগেই মারা গেছেন এবং ২১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসের শেষে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এলাকার আওতায় শেষ রাউন্ডে পরীক্ষা করার জন্য ২৮০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ২৪৮টি নমুনাতে ওমিক্রন পজিটিভ হয় এবং বাকি নমুনার ব্যক্তিরা করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বিএমসি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ১৯০ জন রোগীর মধ্যে ৭৪ জন রোগী ৬১ থেকে ৮০ বছর বয়সসীমার মধ্যে, শতাংশের নিরিখে যা ৩৯ শতাংশ। ৪১ জন রোগীর বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। ৩৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে এবং ২২ জন রোগীর বয়স ৮১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ও ১৭ জন রোগীর বয়স ১৮ বছরের মধ্যে।

এছাড়া ১৯০ জন রোগীর মধ্যে ১৩ জনের বয়স ১৮ বছরের কম। এরমধ্যে ১১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। বিএমসি জানিয়েছে, ১৯০ জন রোগীর মধ্যে ১০৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৫ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন।

এছাড়া ৫০ জন টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছেন এবং ৫১ জন কোনো করোনা টিকা নেয়নি। অন্যদিকে ওই ১০৬ জন রোগীর মধ্যে শুধুমাত্র ৯ জনকে অক্সিজেন দিতে হয়েছিল এবং ১১ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছিল।

টিএম