ইউক্রেন সংকট: কিয়েভ থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য
ছবি: রয়টার্স
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লেভিভে আপাতত অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হবে দেশটির দূতাবাস।
দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ইতোমধ্যে এই পরিকল্পনা জানানো হয়েছে। সব দূতাবাসকর্মীকে কিয়েভ ছেড়ে লেভিভে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ব্রিটেনের সরকার।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘যে কোনো সময় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের নিরাপত্তা ও ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সংযোগ অক্ষুন্ন রাখতেই দূতাবাস স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
একই কারণে ইউক্রেনে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের দেশে ফিরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়। তবে যেহেতু দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক আছে, তাই এখনই এ ব্যাপারে নাগরিকদের কোনো সহযোগিতা দেয়ার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে সেখানে বল হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ত্যাগের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বাড়তি সহযোগিতা প্রত্যাশা করা ব্রিটেনের নাগরিকদের উচিত হবে না।’
গত ডিসেম্বর থেকে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। প্রথম পর্যায়ে লাখ খানেক সেনা উপস্থিতি থাকলেও বর্তমানে সেখানে ১ লাখ ৯০ হাজার, বা তারও কিছু বেশি সেনার উপস্থিতি রয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম কর্মকর্তা মাইকেল কার্পেন্টার।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংকট মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই সংকট শুর হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।
ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়, মূলত সেজন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির করতেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল রাশিয়া। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক বার মস্কো বলেছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরা মস্কোর এই বক্তব্যে একেবারেই আস্থা রাখতে পারছে না। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি নিশ্চিত যে, তিনি (পুতিন) হামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আমাদের এটা বিশ্বাস করার মতো যৌক্তিক কারণ রয়েছে এবং (এ ব্যাপারে) আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ