লালু প্রসাদ যাদবের ৫ বছরের কারাদণ্ড
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত ভারতের বিরোধীদলীয় জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির বিশেষ এক আদালত। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১৩৯ কোটি রুপি আত্মসাতের এই মামলায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে আরও ৬০ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বিহারের ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিককে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। অনলাইনে শুনানির পর বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুর বিরুদ্ধে ওই সাজা ঘোষণা করেছেন দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন আদালত।
বিজ্ঞাপন
সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের আইনজীবী বিএমপি সিং বলেছেন, লালু প্রসাদ যাদবকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। আরজেডির এই প্রধান ছাড়াও মামলার অন্য পাঁচ অভিযুক্তের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ৩২ অভিযুক্তের প্রত্যেককে চার বছর এবং তিনজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শত কোটি রুপি আত্মসাতের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পঞ্চম এবং শেষ মামলায় লালু প্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে তার আইনজীবীরা এই কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অন্য চারটি মামলায় বিহারের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সর্বশেষ পাঁচ নম্বর মামলায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দোরান্দা কোষাগার থেকে ১৩৯ দশমিক ৩৫ কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে ৯৫০ কোটি রুপির পশুখাদ্য কেনাকাটা কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রথম ফাঁস করেছিলেন বিহারের চৈবাসার ডেপুটি কমিশনার অমিত খারে।
ভুয়া বিল দেখিয়ে বিহারের পশুপালন বিভাগ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিশাল অংকের অর্থ ছাড় করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হল।
এসএস