ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরে ভারতীয় যাত্রীদের উল্লাস
ইউক্রেন ইস্যুতে গেল কয়েকদিন সরগরম আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ময়দান। ইউক্রেন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো দুই পরাশক্তি সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে হামলার আশঙ্কায় নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলছে বেশ কিছু দেশ।
ইউক্রেনে অবস্থানরত নিজ দেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের দেশটি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারতও। রোববার এ পরামর্শ দেওয়ার পর মঙ্গলবার ইউক্রেন থেকে ২৪০ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি ফিরেছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট।
বিজ্ঞাপন
— ANI (@ANI) February 22, 2022
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দেশে ফেরার আনন্দে বিমানের যাত্রীরা প্রত্যেকেই আনন্দ প্রকাশ করেন ৷ তাদের উল্লাসের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিভ-দিল্লি-কিভ রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট চালানো হচ্ছিল। পরে অবশ্য এই রুটে বিমানসংখ্যা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। সে ঘোষণা মোতাবেক দিল্লি থেকে ইউক্রেনের পথে রওয়ানা হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট। দিল্লি থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে পৌঁছতে বিমানটির সময় লাগে প্রায় ৮ ঘণ্টা।
বিজ্ঞাপন
আজকের পর ২৫ ফেব্রুয়ারি (একটি ফ্লাইট), ২৭ ফেব্রুয়ারি (দুটি ফ্লাইট) এবং ৬ মার্চ (একটি) বিমান চালানো হবে এই রুটে ৷ এ ছাড়া এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাই দুবাই এবং কাতার এয়ারওয়েজেও ফিরতে পারবেন ভারতীয়রা। ফলে ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরার জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে এখন ভারতীয়দের হাতে।
সর্বশেষ অবস্থা
পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি রুশপন্থি অঞ্চলকে সোমবার ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে মস্কো। এমনকি স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে এ ঘোষণার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
তার আগে সোমবার রাশিয়ার টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক দীর্ঘ ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেন কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশ এবং এই দেশটি একটি ‘পুতুল সরকারের’ মাধ্যমে চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন কোনোদিনই প্রকৃত রাষ্ট্র ছিল না এবং আধুনিক ইউক্রেন রাশিয়ার মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছে।’
ইউক্রেন সীমান্তে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায় দেড় লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
এনএফ