চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সাধারণ জ্ঞান। এরমধ্যে আন্তর্জাতিক অংশের বেশিরভাগ প্রশ্নই আসে সমসাময়িক ঘটনাবলী থেকে। ফলে চলমান ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন একনজরে জেনে নিই এই যুদ্ধের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা-

১। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখে পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি রুশপন্থি অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় মস্কো।

২। পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে রুশ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। মূলত এই দুই অঞ্চলে ‘শান্তি নিশ্চিত’ করতে রুশ সেনাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

৩। পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়া স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পর অঞ্চল দু’টির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীকেও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করে দেয় দেশটি।

৪। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের উত্তেজনা পায় নতুন মাত্রা। এর জেরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও জাপানসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মতো সংস্থাও রয়েছে। 

৫। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখে ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলা চালায় রাশিয়া। এমন অবস্থায় দেশের মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তিনি। একই সঙ্গে দেশজুড়ে মার্শাল ল জারি করেছেন জেলেনস্কি। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানায়। এবং রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয়ের শপথ করেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরোদমে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার পর ওই ভিডিও বার্তা দেন তিনি।

৬। অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিতে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক ও সক্ষম সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এক টেলিভিশন ভাষণে নাগরিকদের লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার এই আহ্বান জানান তিনি।

রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। এছাড়া ইউক্রেনকে রক্ষায় ইচ্ছুক কারো ওপর পূর্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকলে এখন তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

৭। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে বলে জানায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। 

ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানায়, কিয়েভে সরকারি স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে গ্র্যাড মিসাইল ছুড়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ সৈন্যরা।