প্রতিনিয়ত চাকরির খুঁজে বেড়ান লাখ লাখ বেকার। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে চাকরির সন্ধান পাওয়া এখন অনেকটা সহজ। কিন্তু এরমধ্যে থাকে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি। না বুঝে অনেকেই এসব চটকদার বিজ্ঞপ্তির ফাঁদে পরে সর্বস্ব খুইয়ে বসেন।

সম্প্রতি ভারতে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। চাকরির নাম করে ভুয়া মেসেজ পাঠানো হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। এই মেসেজে লেখা রয়েছে, আপনি ইন্টারভিউতে পাশ করেছেন, আপনার দৈনিক বেতন ৮ হাজার টাকা। চ্যাট-ভিত্তিক নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম হাইরেক্ট তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানিয়েছে, ভারতে প্রায় ৫৬ শতাংশ চাকরি প্রার্থী চাকরি খোঁজার সময় জালিয়াতির শিকার হয়।

প্রতিবেদনের আরও বলা হয়েছে, ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী চাকরি-প্রার্থীরাই মূল টার্গেটে থাকে এসব ধান্ধা-বাজদের। উচ্চ বেতনের সঙ্গে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে, চাকরি প্রত্যাশীদের থেকে অগ্রিম অর্থ আদায় করা হয়। এরমধ্যে দু'একজনের চাকরি হলেও বেশিরভাগ হয় ভুয়া। এমনকি নিজেদের তথাকথিত ‌‘জব এজেন্সির’ পরিচয় দিয়ে জাল রেফারেন্স এবং ট্রেনিং প্রদানের জন্য অর্থ চাওয়া হয় চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে।

এখানেই শেষ নয়। হাইরেক্ট তাদের প্রতিবেদনে জানায়, লোভনীয় মেসেজ ছাড়াও একাধিক কৌশলে ফাঁদে ফেলা হয় চাকরি-প্রার্থীদের। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে ভুয়া ওয়েবসাইট, ভুয়া রেজিস্ট্রেশন, এজেন্সি ফি, অ্যাপ্লিকেশন চার্জ, ট্রেনিং ফি, অফার লেটার ফি ইত্যাদি।
প্রতারক চক্রটি প্রথমে প্রার্থীদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়, তারপর পরবর্তী ধাপের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা ইউপিআই এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন।

প্রতিবেদনে আরও ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। এসব ভুয়া এজেন্সি প্রথমে চাকরির অফার লেটার দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। কিন্তু এক মাস হতেই প্রথম মাসের বেতন ‘এজেন্সি ফি’ হিসেবে দিতে হবে। কখনও কখনও, কাজ শেষ হওয়ার পরেই অদৃশ্য হয়ে যায় এই ধরণের ভুয়া নিয়োগকারীরা।