শুরুটা আজকের মতো এতো সহজ বা গোছানো ছিলো ডিজিটাল মার্কেটার ও তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এ এইচ আলীর। তখন অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে টুকটাক কাজ করতেন। দ্রুত গতির ইন্টারনেট কানেকশনও ছিলো না। মাসের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে ইন্টারনেট প্যাকেট কিনে কাজ করতেন।

এ এইচ আলী বলেন, ‘শুরুর দিকে তখন অনেক ছোট বড় সাইটে কাজ করেছি। কখনো টাকা পেয়েছি। অনেক যায়গায় ২০-৩০ দিন কাজ করার পরে সেই ওয়েবসাইটই হাওয়া হয়ে যেতো। একদিন পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়।তখন থেকেই লেগে পড়লাম। মোবাইল ফোন আর ডুয়েল কোরের ল্যাপটপ দিয়েই শুরু করি এই যাত্রা।’

তিনি বলেন, ‘সফলতা এতো সহজে আসেনি। শুরুতে এতো কিছু জানতাম না। দরকার ছিলো সঠিক গাইডলাইন। অনেকের কাছে গিয়েছি, সাহায্য পায়নি। ইউটিউব থেকে কাজ করে মোটামুটি অভিজ্ঞতা হয়েছে তখন। কিন্তু তারপরও ভালো কিছু পারছিলাম না। তখন ভাবলাম অনলাইনে কোন আইটি সেক্টরে চাকরি করি। যদি সেখান থেকে ভালো কিছু শিখতে পারি। ঢাকা চলে আসলাম। একটা আইটি ফার্মে চাকরি নিলাম। সেই থেকেই শুরু।

এরপরের ৬ মাস ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছিলাম। তারপর আর নিজের ইনকামের জন্য অন্য কারো কাছে যেতে হয়নি, বললেন এ এইচ আলী। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত  ইউটিউব থেকে পেয়েছি সিলভার প্লে বাটন। নিজের মনিটাইজ চ্যানেলও এক ডজনের মতো। কাজ করি টিউটোরিয়াল, নিউজ, স্টোরি টেলিং, গেম রিভিউ, টয় রিভিউ, লাইফ স্টাইল সহ বেশ কিছু টপিক নিয়ে।  দেশ ও দেশের বাইরের মিলিয়ে ৩০০ এর বেশি চ্যানেল সফল ভাবে মনিটাইজ সার্ভিস দিয়েছি। দেশের টপ শ্রেণির টিভি ও নিউজ চ্যানেলেরও সার্ভিস দিয়ে থাকি।

এ এইচ আলী বলেন, ধীরে ধীরে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দিকে দক্ষতা বাড়াতে শুরু করি। কাজ শুরু করি ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক মার্কেট-প্লেসে। নিজের কাজের পাশাপাশি দেশ ও বিদেশে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সার্ভিস দিয়ে থাকি। নতুন যারা কাজ শিখতে চায় তাদের অনুরোধে ট্রেইনার হিসেবেও যাত্রা শুরু করি। একজন ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে ইতিমধ্যে অফলাইন - অনলাইন মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজারের বেশি স্টুডেন্ট ট্রেইনিং করানোর অভিজ্ঞতা হয়েছে।

এ এইচ আলী দেশের সেরা আইটি ইন্সট্রাকটর হিসেবে ২০২২ সালেই বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাত থেকে সম্মাননা পুরষ্কারও পেয়েছেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের সাপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি বড় গ্রুপের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সাপোর্ট দিচ্ছেন।